ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত শুল্কের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সস্তা চীনা পণ্যের ঢেউয়ের মুখোমুখি। ব্রাসেলস আশঙ্কা করছে যে এশীয় অতিরিক্ত উৎপাদনের এই পুনর্নির্দেশ স্থানীয় শিল্পের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে এবং তারা সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে ট্রাম্পের শুল্ক ইউরোপীয় শিল্পকে আরও বিপদে ফেলতে পারে, ইইউ ইতিমধ্যে এই ঢেউ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ইইউ পণ্যের উপর শুল্ক ইউরোপীয় নির্মাতাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, যারা ইতিমধ্যেই অটোমোবাইল এবং ইস্পাতের উপর মার্কিন শুল্কের সাথে লড়াই করছে।
চীন ও ভিয়েতনামের উপর আরোপিত কঠোর শুল্কের কারণে এশীয় পণ্য, যেমন ইলেকট্রনিক্স এবং যন্ত্রপাতি, ইউরোপীয় বাজারে পুনর্নির্দেশিত হতে পারে। ইউরোপীয় কমিশন নতুন সুরক্ষামূলক শুল্ক চালু করার এবং আমদানি প্রবাহ আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পরিকল্পনা করছে।
অ্যাপল বাজার মূল্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির অন্যতম বৃহত্তম শিকার। প্রযুক্তি জায়ান্টটির শেয়ার ৯% এর বেশি কমেছে, যার ফলে এর বাজার মূলধন ৩.৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৩.০৫ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা কোম্পানির ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বড় পতন।
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক চীন, তাইওয়ান, ভারত ও ভিয়েতনামসহ এশিয়ার অ্যাপলের সমস্ত প্রধান সরবরাহ ও উত্পাদন কেন্দ্রকে প্রভাবিত করে। এই ব্যবস্থাগুলি আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাক এবং অন্যান্য কোম্পানির প্রায় সমস্ত মডেলকে প্রভাবিত করবে। সিইও টিম কুকের সামনে দাম বাড়ানো বা অতিরিক্ত খরচ বহন করার দ্বিধা রয়েছে, যা কোম্পানির মুনাফা কয়েক বিলিয়ন ডলার কমিয়ে দিতে পারে।
ট্রাম্প টিকটকের জন্য ৫ এপ্রিলের মধ্যে একটি অ-চীনা ক্রেতা খুঁজে বের করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন, অন্যথায় জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়ের একটি লাভজনক উৎস, যেখানে টিকটক ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ওয়াশিংটন প্রযুক্তি রপ্তানির নিয়ম কঠোর করছে এবং চীনা এআইতে বিনিয়োগ সীমিত করছে, যা চীনের উপর তার নেতৃত্ব বজায় রাখার কৌশলের অংশ।