জার্মানির নবনিযুক্ত চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস ফেডারেল পার্লামেন্টে ভাষণ দেন এবং তাঁর সরকারের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরেন। তিনি রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ঐক্যের ওপর জোর দেন। মের্ৎস জার্মানির অর্থনৈতিক সম্পর্ক চীনের সঙ্গে কৌশলগত ঝুঁকি কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও আলোকপাত করেন।
মের্ৎস ইউক্রেনের প্রতি জার্মানির অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জোর দেন যে এই সংঘাতের ফলাফল আন্তর্জাতিক আইনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তিনি বেইজিং ও মস্কোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি চীনকে ইউক্রেনের সংঘাত নিরসনে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে কথা বলার সময়, মের্ৎস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির সমালোচনা করেন। তিনি ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক ও বাণিজ্য বাধা কমানোর জন্য একটি বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রকাশ করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনার কথা উল্লেখ করেন, যা বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে পারস্পরিক আকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত দেয়।
মের্ৎস অভিবাসন নিয়েও কথা বলেন এবং অবৈধ অভিবাসন সীমিতকরণ ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি পূর্ববর্তী অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেন। তবে, তিনি নিশ্চিত করেন যে জার্মানি এখনও অভিবাসনের দেশ।