ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য বিদেশি নাগরিকদের আটক করার অভিযোগে অভিযুক্ত ইরানি কর্মকর্তাদের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা জিম্মি কূটনীতি নামে পরিচিত। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে সম্পদ জব্দ করা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা, এবং এটি মূলত সেই ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে যারা গুপ্তচরবৃত্তি এবং নিরাপত্তা-সম্পর্কিত অপরাধে জড়িত। ফ্রান্সে দুইজন নাগরিক ইরানি হেফাজতে রয়েছে, এবং দেশটি তেহরানের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে সমর্থন জুগিয়ে আসছে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারোট বলেছেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্র কর্তৃক জিম্মি করার এই নীতির জন্য দায়ী ইরানি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ করবে। কূটনীতিকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে কমপক্ষে নয়জন ইরানি কর্মকর্তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে। এই পদক্ষেপটি ইরান কর্তৃক দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা ব্যক্তিদের আটকের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে এসেছে, যেখানে ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে ২০ জন ইউরোপীয় নাগরিক ইরানি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। ফ্রান্স ইরানের বিরুদ্ধে কনস্যুলার সুরক্ষা অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পদক্ষেপ ইরানের উপর তাদের কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন ঘটায়, যার মধ্যে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি এবং রাশিয়ার সাথে সামরিক সহযোগিতার সমালোচনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ফরাসি চাপের মধ্যে জিম্মি কূটনীতির অভিযোগে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ইইউ
সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।