ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাশিয়া সাথে ভবিষ্যতের যেকোনো শান্তি চুক্তি তত্ত্বাবধানের জন্য প্রায় ৩০টি দেশকে ইউক্রেনে সৈন্য মোতায়েনের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রাসেলসে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলির সভাপতিত্বে 'ইচ্ছুক জোট'-এর প্রথম বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়।
হিলি জোটের সদস্যদের শান্তি চুক্তির জন্য প্রস্তুত থাকার ওপর জোর দেন এবং ইউক্রেনে ইউরোপীয় অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য ২০০ জন সামরিক পরিকল্পনাকারীর পরিকল্পনা তৈরির কথা উল্লেখ করেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ শক্তির সমর্থনে একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য ইউক্রেনের প্রস্তুতির কথা জানান।
এতদসত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোটের সমাবেশে অংশ নেয়নি এবং বিমান শক্তি ও সামরিক সহায়তা সহ তাদের সমর্থন অনিশ্চিত রয়ে গেছে। নেদারল্যান্ডস, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ইউক্রেনের স্থায়ী নিরাপত্তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কালাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ধরে রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালানোর কথা জানিয়েছেন।
প্রস্তাবিত বাহিনীটির লক্ষ্য হল রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করা, যদিও এর গঠন যেকোনো শান্তি চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। বাহিনীটির কর্মপরিধি, মিশনের লক্ষ্য এবং সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ইতালি ও নেদারল্যান্ডস সহ কিছু দেশের সৈন্য মোতায়েন করার আগে সংসদীয় অনুমোদনের প্রয়োজন।
ব্রিটেন ও জার্মানির সহ-সভাপতিত্বে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা বাড়াতে প্রায় ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা ন্যাটোতে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা নয়।