মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের সাথে রাশিয়ার সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মস্কোতে মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে এক বৈঠকে মালির সাথে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করার ঘোষণা করেছেন। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সক্রিয়ভাবে এগিয়ে চলেছে, রাশিয়ান সৈন্যরা মালির সৈন্যদের সাথে কর্মীদের প্রশিক্ষণে কাজ করছে। এই বৈঠকটি সাহেল অঞ্চলে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে তুলে ধরে, যা এই আফ্রিকান দেশগুলির এবং তাদের প্রাক্তন ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্কের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অভ্যুত্থানের পর, মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজার রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছে, যা ইসলামী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তাকারী রাশিয়ান কর্মীদের মোতায়েন দ্বারা সমর্থিত। জানুয়ারিতে, তিনটি দেশ ফরাসি প্রভাবের অভিযোগ তুলে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলির অর্থনৈতিক সম্প্রদায় (ECOWAS) থেকে সরে যায় এবং সাহেল রাজ্যগুলির জোট (AES) গঠন করে, যা প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি ছিল, যার লক্ষ্য এখন বৃহত্তর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক একীকরণ। মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে ডিয়োপ রাশিয়ার সাথে সহযোগিতার প্রশংসা করে ঘোষণা করেছেন যে রাষ্ট্রপতি আসিমী গোয়তা জুনে মস্কো সফর করবেন। নাইজারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাকারী ইয়াও সানগারেও এই বৈঠককে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন। এই ঘটনাগুলি আফ্রিকাতে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর কৌশলের অংশ, যেখানে সামরিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক মাত্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি পশ্চিমা দেশগুলির সাথে, বিশেষ করে ফ্রান্সের সাথে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং আফ্রিকাতে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।