১৭ই জুলাই, ২০২৫-এ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জ লন্ডনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিটি কেবল সামরিক সহযোগিতার একটি দলিল নয়, বরং এটি ইউরোপীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ও বটে।
চুক্তিটিতে পারস্পরিক সহায়তার একটি ধারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা উভয় দেশের প্রতি কৌশলগত হুমকিকে একটি সাধারণ হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। এর মূল উপাদান হলো একটি নতুন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ‘ডিপ প্রিসিশন স্ট্রাইক’ সক্ষমতার যৌথ উন্নয়ন, যার পাল্লা ২,০০০ কিলোমিটারের বেশি। এই চুক্তির মাধ্যমে, উভয় দেশ প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চাইছে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তা কাঠামোকে শক্তিশালী করবে।
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এই চুক্তিটি জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের একটি প্রতীক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে উভয় দেশই বিভিন্ন সময়ে সামরিক এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আরও গভীর হলো। জার্মানির পক্ষ থেকে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং বাণিজ্য, পরিবহন খাতে সহযোগিতা উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।
সবশেষে, এই চুক্তিটি কেবল একটি সামরিক চুক্তি নয়, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তও বটে। এটি ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা নীতির সমন্বয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।