১৪ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে, নিকারাগুয়ায় 'নুয়েভাস ভিক্টোরিয়াস' আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধন হয়, যা চীন সরকারের অর্থায়নে সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৯২০টি সামাজিক আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই প্রকল্পের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হলো।
এই প্রকল্পের প্রধান অর্থনৈতিক দিকগুলো হলো: প্রথমত, চীনের এই বিনিয়োগ নিকারাগুয়ার অর্থনীতিতে মূলধন সরবরাহ করেছে, যা নির্মাণ খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই প্রকল্পে সরাসরি ৫০০ জনের বেশি স্থানীয় শ্রমিক কাজ করেছেন, যা বেকারত্ব কমাতে সহায়ক হয়েছে। দ্বিতীয়ত, নতুন আবাসন তৈরি হওয়ায় আবাসন বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং বাড়ির দাম স্থিতিশীল হতে পারে, যা নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য আবাসন সহজলভ্য করবে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আবাসন সরবরাহ বাড়লে আগামী দুই বছরে বাড়ির দাম ৫% পর্যন্ত কমতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদে নিকারাগুয়ার অর্থনীতিতে এর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 'নুয়েভাস ভিক্টোরিয়াস' প্রকল্পটি চীন ও নিকারাগুয়ার মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার অংশ, যেখানে ১২,০০০-এর বেশি বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। চীনা রাষ্ট্রদূত চেন সি এই সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে এবং সকলের সমৃদ্ধি আনবে।
সবশেষে, চীন-নিকারাগুয়ার আবাসন প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চীনের বিনিয়োগ এবং নিকারাগুয়ার সরকারের প্রতিশ্রুতি নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ বৈদেশিক বিনিয়োগের গতিশীলতা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর প্রভাব সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে।