ভারত ও যুক্তরাজ্য একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য হল রপ্তানি বৃদ্ধি করা এবং দুটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করা। এফটিএ ভারতীয় রপ্তানিকারকদের যুক্তরাজ্যের বাজারে আরও বেশি প্রবেশাধিকার প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এফএমসিজি, স্বাস্থ্যসেবা, উদ্ভাবন এবং বস্ত্রের মতো প্রধান ক্ষেত্রগুলি উপকৃত হতে পারে। পণ্য ও পরিষেবাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বর্তমানে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী বছরগুলোতে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। চুক্তিতে দ্বৈত অবদান সম্মেলন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি স্বল্পমেয়াদী কাজের জন্য যুক্তরাজ্যে কর্মরত ভারতীয় পেশাদারদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার শর্ত সহজ করবে। উভয় দেশের শিল্প নেতারা চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই চুক্তি ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত করবে। এফটিএ উভয় দেশের ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে। এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চালাবে, কর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং বিভিন্ন খাতে উদ্ভাবন ও সহযোগিতা সমর্থন করবে। দ্বৈত অবদান সম্মেলন অন্তর্ভুক্তি ভারতীয় পেশাদারদের জন্য একটি জয়। চুক্তির আসল পরীক্ষা নির্ভর করে যুক্তরাজ্যের কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম (সিবিএএম) কীভাবে পরিচালনা করা হয় তার উপর। এই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। এটি কৌশলগত বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং ভারতীয় ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী ভ্যালু চেইনে আরও বেশি করে একত্রিত করবে।
এই নিবন্ধটি রয়টার্স থেকে নেওয়া উপাদানের উপর ভিত্তি করে আমাদের লেখকের বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে তৈরি।অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত
সম্পাদনা করেছেন: Anna 🌎 Krasko
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।