রিপোর্ট বলছে, গাজায় উত্তেজনা চলছে, যা গোলাগুলি ও সৈন্য মোতায়েন দ্বারা চিহ্নিত। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১৯ জানুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতিতে কয়েক দফায় বন্দী বিনিময় হয়। তবে পরিস্থিতি এখনও নাজুক, উভয় পক্ষই লঙ্ঘনের খবর দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির সময়, হামাস ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবে, বন্দীদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে মতবিরোধের কারণে শত্রুতা আবার শুরু হয়। ১৮ মার্চ, ২০২৫ তারিখে, ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা চালায়, যা যুদ্ধবিরতি ভেঙে দেয়।
সংঘাতের ফলে গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা নিষেধাজ্ঞা ও পদ্ধতিগত ধ্বংসের কারণে আরও খারাপ হয়েছে। এপ্রিল ২০২৫ এর শুরু পর্যন্ত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ৫০,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু। আরও কয়েক হাজার নিখোঁজ রয়েছে এবং ১,১০,০০০ এর বেশি আহত হয়েছে। প্রশাসনিক আটকাদেশে থাকা ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রচেষ্টা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায়শই সহায়তা সরবরাহ অস্বীকার করা হয়েছে বা বাধা দেওয়া হয়েছে, যার ফলে খাদ্য, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজার জনগণের দুর্ভোগ কমাতে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছে। চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ইউএনআরডব্লিউএ এবং Caritas Jerusalem-এর মতো সংস্থাগুলি অভাবীদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।