নিউ ইয়র্ক, জুলাই ২০২৫ — জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৫/২৬ অর্থবছরের জন্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য ৫.৩৮ বিলিয়ন ডলারের বাজেট অনুমোদন করেছে। এটি গত বছরের ৫.৫৯ বিলিয়ন ডলারের বাজেটের তুলনায় সামান্য কম, যা কোত দিভোয়ার ও লাইবেরিয়ার শান্তিরক্ষা মিশনসমূহ সমাপ্তির কারণে। এই অঞ্চলের সংগ্রাম ও পুনর্গঠনের গল্প আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের সাথে মিলে যায়, যেখানে শান্তি অর্জনের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে আসা হয়েছে।
এই বাজেট ১২টি শান্তিরক্ষা মিশনকে অর্থায়ন করবে, যেগুলো বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচালিত হচ্ছে, যেমন কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রী (MONUSCO), মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র (MINUSCA), দক্ষিণ সুদান (UNMISS), সাইপ্রাস (UNFICYP), লেবানন (UNIFIL) এবং অন্যান্য। এই মিশনগুলো সংঘাতপূর্ণ এলাকা স্থিতিশীল করার, রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার এবং নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ও মানবতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
বাজেট চক্রটি ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত সময়কালকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেট থেকে পৃথক, যা সংস্থার অন্যান্য প্রোগ্রামগুলিকে অর্থায়ন করে। লেবাননে মিশনের বিষয়ে প্রস্তাবিত রেজোলিউশনে কিছু সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও, সাধারণত বাজেটটি ভোট ছাড়াই গৃহীত হয়েছে। এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক কূটনীতির জটিলতা এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সম্মিলনকে প্রতিফলিত করে।
বাজেট অনুমোদনের পরও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের অর্থায়ন পরিস্থিতি কঠিন রয়েছে। জাতিসংঘের কন্ট্রোলার চন্দ্রমৌলি রামনাথন দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নে জটিলতা সৃষ্টি করেছে এমন তরলতা সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন এবং প্রতিনিধিদের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। এটি আমাদের অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যেখানে অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০,০০০ সামরিক, পুলিশ ও বেসামরিক বিশেষজ্ঞকে নিয়োজিত করে। এই কার্যক্রমের অব্যাহত অর্থায়ন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য, যা আমাদের সংস্কৃতি ও সমাজের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।