কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া — ৮ জুলাই ২০২৫ — মার্কো রুবিও, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তাঁর প্রথম এশীয় সফরে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন। এই সফর ৮ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত চলবে এবং এটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও আয়েশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা তীব্রতর হচ্ছে।
সফরের আগের দিন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন ছয়টি আয়েশিয়ান দেশের আমদানিতে শুল্ক আরোপের কথা: মালয়েশিয়ার জন্য ২৫%, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার জন্য ৩৬%, ইন্দোনেশিয়ার জন্য ৩২%, এবং লাওস ও মায়ানমারের জন্য ৪০%। এই পদক্ষেপগুলি যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক অংশীদারদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং ওয়াশিংটনের মুক্ত অর্থনৈতিক সংলাপে অব্যাহত অংশগ্রহণের বিষয়ে সন্দেহ জাগিয়েছে। রুবিওর এই সফরের লক্ষ্য হলো এই উত্তেজনাগুলো প্রশমিত করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংলাপের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমসহ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, যেখানে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, ডিজিটাল সহযোগিতা ও বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা হবে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের মতে, প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা, সামুদ্রিক নিরাপত্তার প্রতি সমর্থন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা।
এই সফরকে হোয়াইট হাউসের কঠোর বাণিজ্য নীতির ভারসাম্য রক্ষা এবং চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বজায় রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এই ধরনের সফর আয়েশিয়ান দেশগুলোকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, ওয়াশিংটন এখনও কৌশলগত অংশীদারিত্বে আগ্রহী, যা দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গভীর প্রতিধ্বনি ফেলে।