ব্রাসেলস, ২ জুলাই ২০২৫ — ইউরোপীয় কমিশন ১৯৯০ সালের স্তরের তুলনায় ২০৪০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ৯০% কমানোর একটি বাধ্যতামূলক লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। এই লক্ষ্যটি ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু নিরপেক্ষতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ইইউ’র অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
নতুন পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য শুধুমাত্র উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়, বরং সদস্য দেশগুলোর সহায়তার জন্য নমনীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন। ২০৩৬ সাল থেকে দেশগুলো আন্তর্জাতিক কার্বন ক্রেডিট ব্যবহার করতে পারবে — যেমন বন পুনরুদ্ধার এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ প্রকল্প — যা তাদের নিঃসরণ হ্রাসের দায়িত্বের সর্বোচ্চ ৩% পর্যন্ত পূরণ করতে সাহায্য করবে। এটি অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত বোঝা কমিয়ে দেশের জন্য লক্ষ্য অর্জনকে বাস্তবসম্মত করে তুলবে।
তবে, পরিবেশ সংস্থাগুলো এই প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছে, তারা আশঙ্কা করছে যে আন্তর্জাতিক ক্রেডিটের ওপর নির্ভরতা দেশীয় কার্বন হ্রাস প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং প্রতারণার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। একই সময়ে, অনেক দেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিবেশগত লক্ষ্য ও অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতামূলকতা বজায় রাখার মধ্যে সুষমতা প্রয়োজনীয় বলে জোর দিয়েছে। এই বিষয়গুলো দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে আমাদের জন্যও অর্থবহ, যেখানে পরিবেশ ও অর্থনীতির মধ্যকার সমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই নথিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্যারিস চুক্তির অধীনে জাতীয় নির্ধারিত অবদান (NDC) হালনাগাদ করা। ২০৪০ সালের লক্ষ্য ২০৩০ ও ২০৫০ সালের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে, যা জলবায়ু নিরপেক্ষতার পথে ধারাবাহিক ও সুসংগঠিত পরিবর্তন নিশ্চিত করবে।