ব্রাসেলস, ৪ জুলাই ২০২৫ - ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক আলোচনাগুলো এখন সংকটময় পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে শুল্ক বৃদ্ধির ঝুঁকি বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কোনও চুক্তি না হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের আমদানি পণ্যের ওপর পুনরায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করছেন। বর্তমানে কিছু পণ্যের ওপর প্রায় ১০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে।
ইইউ একটি প্রাথমিক চুক্তির অংশ হিসেবে শুল্ক হ্রাসের প্রত্যাশী, বিশেষ করে গাড়ি এবং ইস্পাতের মতো সংবেদনশীল খাতে, যা দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার মারোস̌ শেফচোভিচ উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বর্তমান ১০ শতাংশের পারস্পরিক শুল্ক এবং উচ্চতর খাতভিত্তিক শুল্কগুলোতে উল্লেখযোগ্য কাটছাঁটের জন্য চাপ দিচ্ছেন, যা ইউরোপীয় রপ্তানি রক্ষা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।
৯ জুলাইয়ের পর আলোচনায় ব্যর্থ হলে, ইইউ পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ব্রাসেলস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ব্যবস্থা জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে কার্যকর হতে পারে এবং এতে শিল্প ও কৃষিপণ্যসহ আমেরিকার বহুবিধ আমদানি প্রভাবিত হবে।
এই মুহূর্তে, বিশ্ববাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং আর্থিক ধাক্কা রোধের জন্য ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা অত্যন্ত জরুরি। এটি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে আমাদের ঐতিহ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতা ফুটে ওঠে।