ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০২৫ - আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে চীনের বিরুদ্ধে সহযোগিতা চেয়েছে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টির বিশ্লেষণ করা হলো।
প্রথমত, এই পদক্ষেপটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত এক বছরে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য প্রায় ২০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য উভয় পক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ।
দ্বিতীয়ত, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রস্তাব একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বর্তমানে, চীনের এই শিল্পে বিশ্ব বাজারের প্রায় ৪০% অংশীদারিত্ব রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই খাতে সহযোগিতা চীনের আধিপত্য কমাতে সাহায্য করতে পারে।
তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করছে, যার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াও রয়েছে। এই ধরনের পদক্ষেপ দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কৃষি পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
উপসংহারে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্পর্ক ভবিষ্যতে কেমন হবে, তা এই ঘটনার ওপর অনেকখানি নির্ভর করবে।