২০২৫ সালের জুনে, রাশিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক চরমভাবে অবনতি ঘটে ইয়েকাটেরিনবার্গে বিতর্কিত গ্রেফতারির পর। রাশিয়ার বিশেষ সেবা সংস্থাগুলো প্রায় ৫০ জন আজারবাইজানি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে আটক করে, যাদের বিরুদ্ধে ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ও হামলার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারের সময় দুই জনের মৃত্যু ঘটে, যা বাকুতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
প্রতিক্রিয়ায়, আজারবাইজান রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করে এবং বাকুতে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা স্পুটনিকের অফিসের পর্যালোচনা করে। ক্রেমলিন সংযত প্রতিক্রিয়া দেখায়; প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বাকুর সিদ্ধান্তের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে ইয়েকাটেরিনবার্গের পরিস্থিতি এমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা উচিত ছিল না। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে যে, যদিও নিহত ও আটক ব্যক্তিরা জাতিগতভাবে আজারবাইজানি, তাদের রাশিয়ান পাসপোর্ট ছিল।
এই কূটনৈতিক সংকট দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি নতুন পরীক্ষা, বিশেষ করে ২০২৪ সালের শেষের আজারবাইজানি বিমান দুর্ঘটনার পর। আজারবাইজান তার আন্তর্জাতিক অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে, যার মধ্যে BRICS সদস্যপদ আবেদনও রয়েছে। আজারবাইজান পশ্চিমাদের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রেখে মস্কোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক রক্ষা করার চেষ্টা করছে।