জুলাই ১৭, ২০২৫ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত জি-২০ অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈঠকে বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থমন্ত্রী এনোক গডংগওয়ানা বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গ্লোবাল নেতৃত্ব ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণভার ও বিনিয়োগের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করেন।
কানাডার অর্থমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেইন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা স্থায়ী না করার আহ্বান জানান। তিনি অবকাঠামো বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও আফ্রিকার উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
জাপানের অর্থমন্ত্রী কাতসুনোবু কাতো বৈঠকে মুদ্রা বিনিময় হার অস্থিতিশীলতা নিয়ে সতর্কবার্তা দেন এবং মার্কিন শুল্ক নীতির বৈশ্বিক অর্থনীতি ও আর্থিক বাজারে নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন।
জার্মানির অর্থমন্ত্রী লার্স ক্লিংবেইল বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ ঋণ ব্যবস্থার বাইরে alternative আর্থিক কৌশল অনুসরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি মার্কিন শুল্ক নীতির কারণে ইউরোপীয় পণ্যের উপর সম্ভাব্য ৩০% শুল্ক আরোপের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এই অনুপস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্রের জি-২০ ফোরামের প্রতি অঙ্গীকারের অভাব হিসেবে বিবেচনা করেনি এবং বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধির উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের প্রশংসা করেছেন।
বৈঠকে বিশ্ব বাণিজ্য বিধিনিষেধ ও শুল্কের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়, বিশেষ করে মার্কিন প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এই বৈঠক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার জটিলতা তুলে ধরে, যা বাণিজ্য উত্তেজনা ও ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, এই ধরনের আন্তর্জাতিক আলোচনা ও সিদ্ধান্তগুলি আমাদের অর্থনীতির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে।