ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ইইউ কূটনীতি জোরদার করেছে

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

জুন 2025-এ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে, যা ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক পদক্ষেপের ফলস্বরূপ। ইইউ-এর লক্ষ্য ছিল আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা রোধ করা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রচার করা।

20 জুন, 2025-এ, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জেনেভায় জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকদের সাথে মিলিত হন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। যদিও তাৎক্ষণিক কোনো অগ্রগতি হয়নি, উভয় পক্ষই ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এবং জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) পুনরায় শুরু করার সম্ভাবনা সহ আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।

ইউরোপীয় নেতারা ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সীমিত করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে সমন্বয় করেন। মার্কিন প্রশাসন পূর্বে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালিয়েছে, যা উত্তেজনা বাড়িয়েছে। ইইউ এই পদক্ষেপগুলির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, এবং আরও উত্তেজনা এড়াতে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

ইইউ-এর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ইরানের কঠোর অবস্থান এবং ইসরায়েলের হুমকির কারণে কূটনৈতিক পরিস্থিতি জটিল ছিল। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ কমে আসছিল, এবং ইউরোপীয় নেতারা তাদের অংশগ্রহণের জরুরি প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন। ইইউ-এর সক্রিয় অংশগ্রহণ মধ্যপ্রাচ্যে সংলাপ এবং সম্ভাব্য সংঘাত নিরসনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করেছে।

উৎসসমূহ

  • Deutsche Welle

  • AP News

  • Reuters

  • AP News

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।