নাসার মহাকাশচারী নিকোল আইস ২০২৫ সালের ৩ জুলাই তোলা ছবি প্রকাশ করেছেন, যেখানে পৃথিবীর উচ্চ বায়ুমণ্ডলে বিরল বায়ুমণ্ডলীয় দৃশ্য—বিশাল স্প্রাইট—ধরা পড়েছে।
এই স্প্রাইটগুলি, যা একটি অস্থায়ী দীপ্তিময় ঘটনা, সবচেয়ে বিরল ধরনের বজ্রপাতের মধ্যে পড়ে এবং ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় গঠিত হয়। এগুলি শক্তিশালী মেঘ থেকে ভূমিতে বজ্রপাতের ফলে উদ্ভূত হয় এবং প্রায় ১০০-১৪০ কিমি/সেকেন্ড গতিতে ছড়িয়ে পড়ে, যার বিস্তার প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। একটি স্প্রাইটের স্থায়িত্ব ২০০ থেকে ৩০০ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে থাকে।
এদের নামকরণ তাদের স্বতন্ত্র লাল রঙের জন্য, যা বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন উত্তেজনার ফল।
বিশাল স্প্রাইটগুলি সাধারণ স্প্রাইট এবং স্প্রাইট-সদৃশ ঘটনা যেমন হ্যালো থেকে পৃথক, যা প্রায়শই স্প্রাইটের সঙ্গে দেখা যায়: মেঘের শীর্ষ থেকে মহাকাশের প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া ঝলক। এই ঘটনার সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি বোঝা যায়নি, তবে বিশ্বাস করা হয় যে বিশাল স্প্রাইট পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্যে প্রভাব ফেলে।
এই ধরনের ঘটনা বিরল হওয়ায়, এর ছবি পাওয়া খুবই কঠিন; প্রথমবারের মতো বিশাল স্প্রাইট ২০০২ সালের আশেপাশে নথিভুক্ত হয়।
এর আগে, ২০২৫ সালের ২৭ জুন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেও একটি অনুরূপ ঘটনা ধারণ করা হয়, যা "পৃথিবীর সর্বোচ্চ বজ্রপাত" নামে পরিচিত। এটি এই ধরনের বায়ুমণ্ডলীয় ঘটনাগুলির বিরলতা ও অনন্যতা নিশ্চিত করে।
এ ধরনের ঘটনাগুলির গবেষণা আমাদের বায়ুমণ্ডলের বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়া এবং পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব সম্পর্কে গভীরতর জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করবে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বৌদ্ধিক আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।