নাসা এবং জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা)-র মধ্যেকার সহযোগিতা শব্দ-বুম পরীক্ষার মাধ্যমে নীরব অতি-শব্দিক বিমানের পথ প্রশস্ত করছে। এই সহযোগিতা প্রযুক্তিগত অগ্রগতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা বিমান ভ্রমণের ভবিষ্যৎকে নতুন রূপ দিতে পারে।
নাসার এক্স-৫৯ বিমানটি শব্দ-বুম তৈরি না করে অতি-শব্দিক গতিতে উড়তে সক্ষম। সম্প্রতি, জাপানের চোফু অ্যারোস্পেস সেন্টারে জাক্সা-র সহায়তায় এর বায়ু সুড়ঙ্গ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল বিমানের নকশা যাচাই করা এবং ভবিষ্যতের নীরব অতি-শব্দিক পরিবহনের জন্য মান তৈরি করা। পরীক্ষাগারে বিমানের মডেল ব্যবহার করে ক্রুজ গতিতে এর কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়েছে ।
এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল শব্দ-দূষণ কমানো। এক্স-৫৯ বিমানের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে, যা শব্দ-বুমের প্রভাব হ্রাস করবে। এর ফলে, জনবসতিপূর্ণ এলাকার উপর দিয়ে বিমান চলাচলের সময় সৃষ্ট শব্দ-সংক্রান্ত সমস্যাগুলি কমবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিমানগুলি শব্দ-বুমের তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হবে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে ।
২০২১ সালে শুরু হওয়া এই সহযোগিতা নাসা, জাক্সা এবং বোয়িং-এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব। ইতিমধ্যেই, এক্স-৫৯ ইঞ্জিন পরীক্ষা এবং কাঠামোগত পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছে। চলতি বছরেই এর প্রথম উড্ডয়ন হওয়ার কথা রয়েছে, যা নীরব অতি-শব্দিক ভ্রমণের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। এর ফলে, ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা সম্ভব হবে এবং শব্দ দূষণও কমবে। এই প্রযুক্তি বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যা যাত্রী এবং পরিবেশ উভয়ের জন্যই উপকারী হবে।