মঙ্গলগ্রহে মানুষের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বায়োপ্লাস্টিক এবং শৈবাল ব্যবহার করে টেকসই আবাসন নির্মাণের সম্ভাবনা প্রমাণ করেছেন। এই উদ্ভাবনী পদ্ধতি পৃথিবী থেকে উপাদান পরিবহনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আত্মনির্ভর, বন্ধ চক্র ব্যবস্থা ব্যবহার করার লক্ষ্যে কাজ করছে, যা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার পরিবেশগত সচেতনতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
প্রফেসর রবিন ওয়ার্ডসওয়ার্থের নেতৃত্বে, দলটি তাদের গবেষণার ফলাফল *Science Advances* পত্রিকায় প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখানো হয়েছে কিভাবে সবুজ শৈবাল বায়োপ্লাস্টিকের গঠনগুলোর মধ্যে মঙ্গলগ্রহের অনুকরণীয় পরিবেশে বিকাশ লাভ করতে পারে। তারা পলিল্যাকটিক অ্যাসিড (PLA), একটি জীবাণু-বিকৃতিযোগ্য বায়োপ্লাস্টিক ব্যবহার করে ৩ডি-প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে একটি বৃদ্ধিকক্ষ তৈরি করেছে এবং এতে *Dunaliella tertiolecta* শৈবাল পূরণ করেছে। শৈবালগুলি সমৃদ্ধ হয়েছে এবং আরও বায়োপ্লাস্টিক উপাদান উৎপাদন করেছে।
এই গবেষণা নির্দেশ করে যে বায়োপ্লাস্টিক আবৃত শৈবাল স্বয়ং-প্রজননশীল আবাসনের ভিত্তি গঠন করতে পারে, যা পৃথিবী থেকে উপাদান পরিবহনের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে আনবে। বায়োপ্লাস্টিককে অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে একত্রিত করলে মঙ্গলের পরিবেশকে আরও মজবুত ও বাসযোগ্য করা সম্ভব হবে। এই মূলনীতি পৃথিবীর টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক গর্ব এবং বৌদ্ধিক আলোচনার অংশ।
গবেষকরা এই আবাসনগুলোকে ভ্যাকুয়াম অবস্থায় পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছেন, যা চাঁদ বা গভীর মহাকাশের পরিবেশ অনুকরণ করবে। লক্ষ্য হলো একটি সম্পূর্ণ কার্যকরী, বন্ধ চক্র ব্যবস্থা উন্নয়ন করা, যা পৃথিবীর বাইরে টেকসই মানব উপস্থিতির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। বায়োপ্লাস্টিক এবং শৈবালের এই সৃজনশীল ব্যবহার মঙ্গলে টেকসই আবাসন নির্মাণের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক পথপ্রদর্শক।