চীন ও রাশিয়া ২০৩৬ সালের মধ্যে চন্দ্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মহাকাশ অগ্রাধিকারের পরিবর্তন

সম্পাদনা করেছেন: Tetiana Martynovska 17

চীন ও রাশিয়া ২০৩৬ সালের মধ্যে চাঁদে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য তাদের সহযোগিতা জোরদার করছে। এই উদ্যোগটি আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা স্টেশন (আইএলআরএস)-কে শক্তি সরবরাহ করবে, যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি স্থায়ী গবেষণা ঘাঁটি স্থাপনের লক্ষ্যে একটি যৌথ প্রকল্প। এই প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী মহাকাশ অনুসন্ধানের অগ্রাধিকারের পরিবর্তনকে তুলে ধরে।

পরমাণু চুল্লি নির্মাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, রোবোটিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। রোসকসমস ইঙ্গিত দিয়েছে যে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি প্রায় সম্পন্ন। আইএলআরএস মৌলিক মহাকাশ গবেষণা সহজতর করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী মানববিহীন অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি পরীক্ষা করতে চায়, যা সম্ভাব্যভাবে চাঁদে মানুষের উপস্থিতি ঘটাতে পারে।

বর্তমানে, মিশর, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ সহ ১৩টি দেশ আইএলআরএস প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছে। চীনের চ্যাং'ই-৮ মিশন, যা ২০২৯ সালের কাছাকাছি নির্ধারিত, এই উচ্চাভিলাষী প্রচেষ্টার ভিত্তি স্থাপন করবে। এই মিশনটি চাঁদের পৃষ্ঠে নভোচারী অবতরণের দিকে চীনের প্রাথমিক পদক্ষেপ চিহ্নিত করে। আইএলআরএস রোডম্যাপে রোবোটিক চন্দ্র ঘাঁটি একত্রিত করার জন্য ২০৩০ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে একাধিক ভারী-লিফট রকেট উৎক্ষেপণ জড়িত।

এই উন্নয়নগুলি এমন সময়ে ঘটছে যখন নাসা সম্ভাব্য বাজেট সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছে, যা সম্ভবত এর গেটওয়ে চন্দ্র মহাকাশ স্টেশনের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করতে পারে। নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রাম অব্যাহত থাকলেও, চীন ও রাশিয়ার সহযোগী প্রচেষ্টা চন্দ্র অনুসন্ধানে একটি পরিবর্তনশীল ল্যান্ডস্কেপকে তুলে ধরে।

উৎসসমূহ

  • Space.com

  • Space.com

  • South China Morning Post

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।

চীন ও রাশিয়া ২০৩৬ সালের মধ্যে চন্দ্র পারম... | Gaya One