চীন মালয়েশিয়ায় তাদের প্রথম বিদেশী উৎক্ষেপণ কেন্দ্র নির্মাণের কথা বিবেচনা করছে। প্রস্তাবিত বিষুবীয় স্পেসপোর্টটি পাহাং-এ অবস্থিত হবে। এই পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে।
চায়না গ্রেট ওয়াল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন (CGWIC) একটি অভিপ্রায় পত্র স্বাক্ষর করেছে। তারা পাহাং স্টেট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (PKNP) এবং লেস্তারি আংকাাসা Sdn Bhd এর সাথে অংশীদারিত্ব করছে। মালয়েশিয়ার এই কোম্পানিটি দেশটির মহাকাশ খাতের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
পাহাং আন্তর্জাতিক স্পেসপোর্ট প্রকল্পটি ২,০০০-এর বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে। এটি পর্যটন এবং গবেষণার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ঘটাতে পারে। স্পেসপোর্টটি বিষুব রেখার কাছাকাছি হওয়ায় আরও কার্যকর উৎক্ষেপণ সম্ভব হবে।
অনুমোদিত হলে, প্রকল্পটি তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে। একটি প্রতিনিধি দল চীনের ওয়েনচাং স্পেস সিটি পরিদর্শনের কথা রয়েছে। তারা পাহাং আন্তর্জাতিক স্পেসপোর্ট প্রকল্প নিয়ে আরও আলোচনা করবে।
এই প্রকল্পটি মহাকাশে চীনের প্রবেশাধিকারের পথে বাধা কমাতে পারে। এটি বাণিজ্যিক এবং বেসামরিক মিশনের জন্য বিকল্প সরবরাহ করবে। এটি মালয়েশিয়ার উপর একটি আঞ্চলিক অংশীদার হিসাবে আস্থা প্রদর্শন করে।
এই প্রকল্পটি মহাকাশে চীনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এটি তাদের উৎক্ষেপণ অবকাঠামোকে মূল ভূখণ্ড চীনের বাইরে প্রসারিত করবে। ভৌগোলিক সমস্যা এবং আঞ্চলিক প্রভাবগুলি মোকাবেলা করতে হবে।
মালয়েশিয়ায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের সময়, উভয় পক্ষই মহাকাশ খাতে জোরদার সহযোগিতার সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা মহাকাশ সক্ষমতা বাড়াতে এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বাড়াতে চায়। এই সহযোগিতা জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার চেষ্টা করে।