জুলাই ২০২৫, ভারত। ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ভারত তার ভাসমান সৌর ফোটোভোলটাইক (FSPV) ক্ষমতা সম্প্রসারণ করছে, যা নবায়নযোগ্য শক্তিকে বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ভূমি ও জল সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সাম্প্রতিক উন্নয়ন:
কুদানকুলম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট: মে ২০২৫-এ, NPCIL সিয়েল অ্যান্ড টেরে-এর সাথে অংশীদারিত্ব করে তামিলনাড়ুর একটি সামুদ্রিক বাঁধে ৫০ মেগাওয়াট ভাসমান সৌর প্রকল্প পরিচালনা করছে, যা পারমাণবিক অবকাঠামোর সাথে সৌর শক্তির সমন্বয় ঘটাচ্ছে।
ওমকারেশ্বর ভাসমান সৌর শক্তি উদ্যান: মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান সৌর প্ল্যান্ট (৯০ মেগাওয়াট), যা আগস্ট ২০২৪-এ ঝড়ের ক্ষতির পর পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছে।
নারমদা নর্দমা প্রকল্প: ডিসেম্বর ২০২৩-এ, GSECL এবং PDEU গুজরাটের নারমদা নর্দমায় ৩ মেগাওয়াট ভাসমান সৌর প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ:
২০২৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ জলাশয়সমূহ প্রায় ২০৭ গিগাওয়াট ভাসমান সৌর শক্তি ধারণ করতে সক্ষম। তবে, ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিরোধ এবং পরিবেশগত উদ্বেগ, যেমন জানুয়ারি ২০২৫-এ মহারাষ্ট্রে ১০০ মেগাওয়াট প্রকল্পের বিরোধিতা, চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
উপসংহার:
২০২৫ সালের ভারতের ভাসমান সৌর প্রকল্পগুলি নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার ও সংরক্ষণে নিবেদিত প্রচেষ্টার প্রতিফলন। ধারাবাহিক উদ্ভাবন, নীতিগত সহায়তা এবং সকল অংশগ্রহণকারীর সহযোগিতা ছাড়া এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। এই প্রচেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ার পরিবেশগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, যা আমাদের অঞ্চলের জন্যও প্রেরণার উৎস।