অজানা স্থানে রোবটের অভিযোজন: প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি পর্যালোচনা

সম্পাদনা করেছেন: Veronika Radoslavskaya

লিডস বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা একটি চতুষ্কোণ রোবটের জন্য একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সিস্টেম তৈরি করেছেন। এই সিস্টেমটি রোবটটিকে বিভিন্ন অজানা স্থানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার গতি পরিবর্তন করতে সহায়তা করে।

গবেষণাটি 'নেচার মেশিন ইন্টেলিজেন্স'-এ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে এই প্রযুক্তি রোবটকে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশ ছাড়াই তার গতিবিধি পরিবর্তন করতে সক্ষম করে। 'ক্লারেন্স' নামক রোবটটিকে গভীর পুনর্বহাল শিক্ষা ব্যবহার করে সিমুলেশনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, যা প্রাণী আচরণ দ্বারা অনুপ্রাণিত।

বাস্তব-বিশ্বের পরীক্ষায়, ক্লারেন্স কাঠ এবং পাথরের মতো বিভিন্ন স্থানে সফলভাবে নেভিগেট করেছে। এই গবেষণাটি বিপজ্জনক পরিবেশে, যেমন পারমাণবিক নিষ্কাশন, পায়ে চলা রোবটগুলির অভিযোজনযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্য রাখে। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ক্লারেন্স প্রতি মিনিটে গড়ে ২ মিটার পথ অতিক্রম করতে পারে, যা তার পূর্বসূরীদের তুলনায় প্রায় ৩০% বেশি।

এই প্রযুক্তি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে অনুসন্ধানের কাজে এই ধরনের রোবট ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সুন্দরবনের মতো দুর্গম অঞ্চলে ক্লারেন্সের মতো রোবট ব্যবহার করে পরিবেশগত গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা যেতে পারে।

উৎসসমূহ

  • Innovations Report

  • Animal-inspired AI robot learns to navigate unfamiliar terrain

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।

অজানা স্থানে রোবটের অভিযোজন: প্রযুক্তিগত অ... | Gaya One