জিম্বাবুয়ের সঙ্গীতশিল্পী ব্লাডলাইন সম্প্রতি তার নতুন গান 'কিস মি থ্রু দ্য ফোন' মুক্তি দিয়েছেন, যা দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে আলোচনা করে। ব্লাডলাইনের এই নতুন গানটি প্রকাশের পর থেকেই সঙ্গীত প্রেমীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। ব্লাডলাইনের ইন্দোনেশিয়ার প্রতি বিশেষ আগ্রহ রয়েছে এবং তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করার কথা ভাবছেন। আসুন, ব্লাডলাইনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গীত জগতে তার সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ব্লাডলাইনের 'কিস মি থ্রু দ্য ফোন' গানটি প্রকাশের পর, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এর শ্রোতা সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। স্পটিফাই-এর তথ্য অনুযায়ী, গানটি মুক্তির প্রথম দুই সপ্তাহে প্রায় ৬ লক্ষ বার শোনা হয়েছে। এছাড়াও, ইউটিউবে গানটির ভিডিও ইতোমধ্যে ৩ লক্ষ ভিউ ছাড়িয়ে গেছে, যা ব্লাডলাইনের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে। ব্লাডলাইন তার প্রথম ইপি-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যেখানে 'হান্যাকামু' শিরোনামের একটি গান থাকবে, যা ইন্দোনেশীয় ভাষায় লেখা হয়েছে। এই গানটি ইন্দোনেশিয়ার শ্রোতাদের প্রতি তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
ব্লাডলাইনের ইন্দোনেশিয়ার প্রতি আকর্ষণ নতুন নয়। তিনি প্রায়ই বলেছেন যে তিনি ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি ও সঙ্গীত পছন্দ করেন। ব্লাডলাইন মনে করেন, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করার মাধ্যমে তিনি আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। তিনি স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গীত শিল্পে অবদান রাখতে আগ্রহী। ব্লাডলাইনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনি জাকার্তায় ইউটিউব মিউজিক নাইটে (আগস্ট ২৭, ২০২৫) পারফর্ম করবেন। এই কনসার্টটি তার ইন্দোনেশিয়ার ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে সহায়ক হবে।
ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গীত বাজারে ব্লাডলাইনের প্রবেশ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তার গানগুলি ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ার শ্রোতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ব্লাডলাইনের সঙ্গীত প্রতিভা এবং ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ তাকে এই বাজারে সফল হতে সাহায্য করবে। ব্লাডলাইনের ইন্দোনেশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত এবং স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গীত জগতে তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে তোলে। সবমিলিয়ে, ব্লাডলাইনের ইন্দোনেশিয়ায় সঙ্গীত পরিবেশনার প্রস্তুতি একটি আকর্ষণীয় বিষয়।