ঘটনার এক নাটকীয় মোড়ে, টেইলর সুইফট অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি’র থেকে দূরে সরে গিয়েছেন বলে জানা গেছে, যখন লাইভলি অভিনেতা ও পরিচালক জাস্টিন বালডোনির সঙ্গে চলমান আইনি বিবাদে জড়িয়েছেন। পরিস্থিতির কাছাকাছি থাকা সূত্র জানাচ্ছে, লাইভলি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি সুইফটকে তার আইনি ঝামেলায় জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, এরপর সুইফট লাইভলির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, এই ফাটল ধরেছিল যখন লাইভলি হুমকি দিয়েছিলেন যে তিনি সুইফটের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করবেন, যদি না সুইফট প্রকাশ্যে বালডোনির বিরুদ্ধে লাইভলির মামলার সমর্থন করেন। এর ফলে সুইফটের বাবা স্কট সুইফট তার মেয়ের সম্মান রক্ষার জন্য হস্তক্ষেপ করেন।
লাইভলি বালডোনির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেছেন, যার জবাবে বালডোনির পক্ষ থেকে লাইভলি এবং তার স্বামী রায়ান রেনল্ডসের বিরুদ্ধে $400 মিলিয়ন ডলারের মামলা করা হয়েছে। বালডোনির অভিযোগ, লাইভলির দাবিগুলো মিথ্যা এবং তিনি সুইফটের সঙ্গে তার সম্পর্ককে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
পরিস্থিতি আরও বেড়েছে বলে জানা গেছে, লাইভলি বিভিন্ন উপায়ে সুইফটের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন, যার মধ্যে টেক্সট, ভয়েসমেল এবং ইমেল অন্তর্ভুক্ত। তিনি তাদের বন্ধুত্ব পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন। তবে, সুইফট নাকি এই চেষ্টাগুলো এড়িয়ে গিয়েছেন।
লাইভলির উদ্বেগের সঙ্গে যোগ করে, গিগি হাদিদের মতো অন্যান্য সেলিব্রিটিরাও নাকি তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। জানা গেছে, সুইফটের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হাদিদ, সম্প্রতি ব্লেককে তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাননি।
আইনি লড়াই চলতে থাকায়, লাইভলি নাকি বালডোনির বিরুদ্ধে তার ‘মানসিক কষ্টের’ দাবিটি প্রত্যাহার করেছেন, সম্ভবত সংবেদনশীল চিকিৎসা রেকর্ড প্রকাশ এড়ানোর জন্য। এই পরিস্থিতি সুইফটের ভবিষ্যতের সৃজনশীল কাজের উপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে জল্পনা তৈরি করেছে।