ডিসোমনিয়া: 'অ্যাওয়েক' (Awake) চলচ্চিত্র: একটি সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

সম্পাদনা করেছেন: Anulyazolotko Anulyazolotko

নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র 'অ্যাওয়েক' (Awake) দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এই সিনেমাটি মানবজাতির টিকে থাকার এক ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছে। আসুন, সিনেমাটির সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রা রোগের প্রেক্ষাপটে নির্মিত। মানুষ যখন ঘুমোতে পারে না, তখন তাদের মধ্যে সহিংসতা দেখা যায়। সিনেমার গল্পটি একটি পরিবারের টিকে থাকার সংগ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।

মানসিক প্রভাব:

সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে গভীর মানসিক প্রভাব ফেলেছে। অনিদ্রা এবং তার ফলস্বরূপ মানুষের আচরণে পরিবর্তন, দর্শকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে। সিনেমায় দেখানো হয়েছে, কীভাবে একটি সংকটময় পরিস্থিতিতে মানুষজন তাদের ভালো এবং খারাপ দিকগুলো প্রকাশ করে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধরনের সিনেমা মানুষের মধ্যে সহানুভূতি তৈরি করে এবং সমাজের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের সিনেমা দেখার পর দর্শকদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।

সামাজিক প্রেক্ষাপট:

'অ্যাওয়েক' (Awake) সিনেমাটি সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে। এটি দেখায়, কীভাবে মানুষ একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা করে এবং টিকে থাকার চেষ্টা করে। সিনেমায় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সমাজের দুর্বল শ্রেণীর মানুষের প্রতি অবিচারও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সমাজের উপর এর প্রভাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর মানুষজন সামাজিক সম্পর্ক এবং কমিউনিটি বিল্ডিংয়ের গুরুত্ব অনুভব করতে শুরু করেছে।

উপসংহার:

'অ্যাওয়েক' (Awake) সিনেমাটি শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি মানব সমাজের একটি প্রতিচ্ছবি। এটি দর্শকদের মানসিক এবং সামাজিক দিকগুলো নিয়ে ভাবতে উৎসাহিত করে। সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। তাই, এই সিনেমাটি দেখা একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা হতে পারে।

উৎসসমূহ

  • El Heraldo de M�xico

  • Netflix

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।