নিকোলোজ লেকভাইশভিলির 'কাসা সোলে' প্রকল্প, যা ২০২৩ সালের ভেনিস আর্কিটেকচার বিয়েনালে প্রদর্শিত হচ্ছে, প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে একটি আকর্ষণীয় বিষয়। এই প্রকল্পের নকশা, যা তিবিলিসির বাগেবি জেলায় অবস্থিত, অভ্যন্তরীণ স্থান এবং বারান্দার মধ্যে একটি অভিনব ৫০/৫০ বিভাজন নিয়ে গঠিত।
প্রযুক্তিগত দিক থেকে, এই প্রকল্পের ডিজাইনটি আধুনিক নির্মাণ কৌশল এবং পরিবেশ-বান্ধব উপাদানের ব্যবহারের উপর জোর দেয়। উদাহরণস্বরূপ, বিল্ডিংটিতে সৌর প্যানেল এবং বৃষ্টির জল সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে, যা বিদ্যুতের ব্যবহার ৩০% পর্যন্ত কমাতে পারে [১]। এছাড়াও, ইন্টিগ্রেটেড স্মার্ট হোম প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাসিন্দাদের জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করা হবে। এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে, বিল্ডিংয়ের শক্তি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগুলি ভবিষ্যতে আবাসন খাতে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে [২]।
ভেনিস বিয়েনালে, যা স্থাপত্য জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, এই ধরনের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন প্রদর্শনের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান। 'কাসা সোলে'-এর ডিজাইনটি কেবল নান্দনিকতাই নয়, বরং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কার্লো রাত্তির তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই বিয়েনালে মানব, প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে সংযোগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে, যা এই প্রকল্পের প্রযুক্তিগত দিকটিকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলে।
পরিশেষে, 'কাসা সোলে' একটি যুগান্তকারী প্রকল্প যা স্থাপত্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটায়। এর উদ্ভাবনী ডিজাইন এবং পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে, এটি ভবিষ্যতের আবাসন খাতের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। ভেনিস বিয়েনালের মঞ্চে এর উপস্থিতি, এই প্রকল্পের প্রযুক্তিগত গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।