পার্সিড উল্কাবৃষ্টি: বিজ্ঞানের চোখে নক্ষত্রের ঝলকানি

সম্পাদনা করেছেন: Tasha S Samsonova

প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে, যখন রাতের আকাশ উজ্জ্বল হয়, তখন পার্সিড উল্কাবৃষ্টির দৃশ্য দেখা যায়। এটি একটি অসাধারণ মহাজাগতিক ঘটনা, যা বিজ্ঞানীদের কাছেও অত্যন্ত আগ্রহের বিষয়। এই উল্কাবৃষ্টি সাধারণত জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে আগস্টের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়, তবে এর শিখর বা সর্বোচ্চ দৃশ্যমানতা থাকে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে, বিশেষ করে ১২ ও ১৩ই আগস্ট তারিখে। এই উল্কাবৃষ্টির কারণ হলো সুইফট-টুটল নামক একটি ধূমকেতুর ফেলে যাওয়া ধূলিকণা ও কণা, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে জ্বলে ওঠে। এই কণাগুলো যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন তারা আলোর ঝলকানি সৃষ্টি করে, যা আমরা আকাশে দেখি । বিজ্ঞানীরা এই ঘটনাটি নিয়ে গবেষণা করেন এবং এর মাধ্যমে সৌরজগতের গঠন ও ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন। প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৬০টির মতো উল্কা দেখা যেতে পারে, যা রাতের আকাশে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তৈরি করে । পার্সিড উল্কাবৃষ্টির মূল উৎস হলো পার্সিউস নক্ষত্রপুঞ্জ, যার দিকে তাকালে মনে হয় যেন উল্কাগুলো সেখান থেকেই আসছে। এই কারণে এর নাম হয়েছে পার্সিড। এই উল্কাবৃষ্টির সময় রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য শহর থেকে দূরে, আলোকমুক্ত স্থানে যাওয়া ভালো। রাতের আকাশে তারাখচিত দৃশ্য দেখা যেমন আনন্দ দেয়, তেমনি বিজ্ঞানীদের জন্য এটি গবেষণার এক মূল্যবান সুযোগ। এই ঘটনা মহাকাশের বিশালতা এবং আমাদের সৌরজগতের রহস্য সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।

উৎসসমূহ

  • News.com.au

  • 9News

  • Live Science

  • Star Walk

  • Natural History Museum

  • Sky at Night Magazine

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।