নাসার পার্কার সোলার প্রোব (Parker Solar Probe) সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছে নতুন তথ্য সরবরাহ করছে, যা সৌরজগতের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই প্রোবটি সূর্যের কাছাকাছি গিয়ে সেখানকার ছবি ও ডেটা সংগ্রহ করে, যা আগে সম্ভব ছিল না। এর ফলে বিজ্ঞানীরা সৌরঝড় এবং পৃথিবীর উপর এর প্রভাব সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রোবটি সৌরজগতের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সূর্যের কাছাকাছি থেকে সরাসরি সৌর বায়ু এবং সৌর করোনার পরিমাপ করার ফলে, বিজ্ঞানীরা সৌর শিখা এবং করোনা ভর নির্গমন (CME) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছেন। এই ঘটনাগুলি পৃথিবীর প্রযুক্তিগত অবকাঠামো, যেমন স্যাটেলাইট এবং বিদ্যুতের গ্রিডগুলিতে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, প্রোবটি আবিষ্কার করেছে যে সৌর বায়ু, যা আগে মনে করা হতো তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল এবং পরিবর্তনশীল। এছাড়াও, সৌর করোনার ছবিগুলিতে চুম্বকীয় ফিলামেন্ট এবং উচ্চ ঘনত্বের অঞ্চলের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই আবিষ্কারগুলি সৌরঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য আরও সঠিক মডেল তৈরি করতে সাহায্য করবে এবং এর ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কমাতে সহায়তা করবে।
পার্কার সোলার প্রোব সৌর কণাগুলির (SEP) গতিবিধি সরাসরি পরিমাপ করেছে, যা মহাকাশে তাদের বিস্তার এবং পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সাথে তাদের মিথস্ক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করে। এই ডেটা মহাকাশচারী এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতেও, বিজ্ঞানীরা এই প্রোবের ডেটা বিশ্লেষণ করে সৌর বিকিরণ থেকে সুরক্ষার জন্য নতুন প্রযুক্তি তৈরি করতে কাজ করছেন।
সংক্ষেপে, পার্কার সোলার প্রোব ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত বিনিয়োগ। এর আবিষ্কারগুলি আমাদের সৌরজগতের আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জগুলি আরও ভালোভাবে মোকাবেলা করতে এবং আমাদের অবকাঠামো ও মহাকাশচারীদের সূর্যের বিপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।