একটি যুগান্তকারী আবিষ্কারে, আলাস্কার ফেয়ারব্যাঙ্কস বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী গুনথার ক্লেটেটস্কা ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে একটি বিপ্লবী তত্ত্ব প্রস্তাব করেছেন, যেখানে তিনি সময়ের তিনটি স্বাধীন মাত্রা থাকার সম্ভাবনা উত্থাপন করেছেন। এটি প্রচলিত ধারণার বিপরীতে, যেখানে সময়কে একটি একক, ধারাবাহিক মাত্রা হিসেবে দেখা হয়।
ক্লেটেটস্কার তত্ত্ব অনুসারে, স্থান এই কালীয় মাত্রাগুলোর দ্বিতীয়কৃত প্রকাশ। তিনি এই তিনটি সময় মাত্রাকে প্রধান কাঠামোর মতো ব্যাখ্যা করেন, যা একটি চিত্রকলার ক্যানভাসের সমতুল্য, যেখানে স্থান, যার তিনটি মাত্রা রয়েছে, সেই চিত্রকলা নিজেই। এই ভাবনাটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মতোই গভীর ও বিমূর্ত, যেখানে সময় ও স্থানকে একত্রে উপলব্ধি করার প্রচলিত ধারনা নতুন মাত্রা পেতে পারে।
এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি শতাব্দী প্রাচীন চার মাত্রিক স্থানকাল মডেলকে চ্যালেঞ্জ জানায়। এটি বিজ্ঞানীদের মহাবিশ্বের একটি ঐক্যবদ্ধ ব্যাখ্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক রহস্যসমূহ সমাধানে সাহায্য করবে।
এই তত্ত্বের প্রভাব ব্যাপক, যা পদার্থবিজ্ঞানের ঐক্যবদ্ধ তত্ত্বের সন্ধানে সহায়ক হতে পারে, যেমন কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং মহাকর্ষকে একত্রিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা। ক্লেটেটস্কার ছয় মাত্রিক গাণিতিক কাঠামো (তিনটি সময়, তিনটি স্থান) একটি সঙ্গতিপূর্ণ কাঠামোর মাধ্যমে একাধিক পদার্থবিজ্ঞানের রহস্য সমাধান করতে পারে।
যদিও এই তত্ত্ব এখনও বিকাশের পর্যায়ে রয়েছে এবং পরীক্ষামূলক প্রমাণের প্রয়োজন, এটি বাস্তবতার মৌলিক প্রকৃতি সম্পর্কে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। ভবিষ্যৎ গবেষণা এই ধারণাগুলোকে নিশ্চিত বা প্রত্যাখ্যান করতে পারে, যা আমাদের মহাবিশ্বের উপলব্ধি বিপ্লবীভাবে পরিবর্তন করতে পারে।