কোয়ান্টাম ঘড়ি প্রযুক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, যা মহাকাশ নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম।
২০২৫ সালে, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) তাদের অ্যাটমিক ক্লক এনসেম্বল ইন স্পেস (ACES) প্রকল্পের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অত্যন্ত স্থিতিশীল পারমাণবিক ঘড়ি স্থাপন করেছে। এই মিশনটি মহাকাশে সময়ের নির্ভুলতা এবং স্থিতিশীলতা যাচাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাদের কোয়ান্টাম ঘড়ি প্রযুক্তি দিয়ে জিপিএস নেভিগেশন সিস্টেমের তুলনায় অনেক বেশি নির্ভুলতা প্রদর্শন করেছেন। এই ঘড়িগুলো নৌবাহিনীর মহড়ায় পরীক্ষিত হয়েছে এবং জিপিএস সংকেতের অনুপস্থিতিতে নির্ভুল নেভিগেশন নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ল্যাবরেটরি (DSTL) কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি পারমাণবিক ঘড়ি তৈরি করেছে, যা সামরিক কার্যক্রমে জিপিএসের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে সহায়তা করবে। এই ঘড়ির নির্ভুলতা এতটাই উন্নত যে এটি বিলিয়ন বছরের মধ্যে এক সেকেন্ডেরও কম সময়ের পার্থক্য দেখাতে সক্ষম।
এই অগ্রগতি কোয়ান্টাম ঘড়ি প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতে মহাকাশ নেভিগেশন, যোগাযোগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে।