যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ পরীক্ষামূলকভাবে কল্পিত সময়ের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছেন, যা পূর্বে শুধুমাত্র একটি গাণিতিক ধারণা হিসেবে বিবেচিত হত।
তাদের গবেষণা Physical Review Letters এ প্রকাশিত হয়েছে, যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। এই আবিষ্কার তথ্য সংরক্ষণ এবং কম্পিউটিং-এর উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, যা আরও দক্ষতা আনবে।
এছাড়াও, এটি আলোর বিভিন্ন পদার্থের মধ্য দিয়ে গমনকালে তথ্যের জটিলতা (information scrambling) বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক। কল্পিত সময় মাধ্যাকর্ষণীয় এককেন্দ্রিকতা (gravitational singularities) মোকাবেলায় সাহায্য করে, যা পদার্থবিজ্ঞানের জটিল সমস্যাগুলোকে সরল করে।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সে, কল্পিত সময় বাস্তব সময় থেকে উইক রোটেশন (Wick rotation) এর মাধ্যমে উদ্ভূত হয়। এটি কোয়ান্টাম মেকানিক্স এবং পরিসংখ্যানিক পদার্থবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়। একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়, গ্রিনের ফাংশন কল্পিত সময়ে 2β = 2/T পর্বের সাথে আবর্তিত হয়।
এর ফলে ফোরিয়ার রূপান্তর কেবল একটি বিচ্ছিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির সেট ধারণ করে, যা ম্যাটসুবারা ফ্রিকোয়েন্সি নামে পরিচিত। মহাবিশ্ববিজ্ঞানে, কল্পিত সময় মাধ্যাকর্ষণীয় এককেন্দ্রিকতাগুলোকে মসৃণ করতে সাহায্য করে, যা আমাদের স্থানীয় নিয়মাবলীর প্রয়োগকে প্রতিহত করে।
তবে, কল্পিত সময় ব্যবহারের মাধ্যমে এই এককেন্দ্রিকতাগুলো এড়ানো সম্ভব, যা প্রযুক্তি এবং মৌলিক বিজ্ঞানের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে। দক্ষিণ এশিয়ার বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায়, এই আবিষ্কার আমাদের বুদ্ধিমত্তা ও সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতিফলন, যা ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পথ সুগম করবে।