মহাবিশ্বের উৎপত্তিস্থল নিয়ে নতুন একটি তত্ত্ব সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাডুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা একটি নতুন কোয়ান্টাম মডেল তৈরি করেছেন, যা মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য উন্মোচনে সাহায্য করতে পারে। এই মডেলটি প্রচলিত 'ইনফ্ল্যাটেবল' মডেলের থেকে ভিন্ন, যেখানে অনেকগুলো পরিবর্তনযোগ্য প্যারামিটারের প্রয়োজন হয়।
নতুন এই মডেলটি প্রস্তাব করে যে, আদি মহাবিশ্ব 'ডি সিটার স্পেস'-এ শুরু হয়েছিল, যা ডার্ক এনার্জি পর্যবেক্ষণের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি কোনো ইচ্ছাকৃত প্যারামিটারের প্রয়োজনীয়তা দূর করে, যা মহাবিশ্বকে আরও সহজ এবং যাচাইযোগ্য কাঠামো দেয়। এই মডেল অনুসারে, স্থান-কালের কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন, বিশেষ করে মহাকর্ষীয় তরঙ্গগুলি, গ্যালাক্সি, নক্ষত্র এবং গ্রহগুলির জন্ম দিয়েছে। এই তরঙ্গগুলি সময়ের সাথে জটিলতা তৈরি করেছে, যা যাচাইযোগ্য ভবিষ্যদ্বাণী করতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই মডেলটি মহাকর্ষীয় তরঙ্গের একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে, যা ভবিষ্যতের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সনাক্ত করা যেতে পারে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও এই বিষয়ে গবেষণা করছেন এবং তাদের পর্যবেক্ষণগুলি এই মডেলটিকে সমর্থন করে। এছাড়াও, মডেলটি গ্যালাক্সির বিন্যাস সম্পর্কে কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য প্রস্তাব করে, যা মহাকাশ টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। এই মডেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর যাচাইযোগ্য ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা, যা মহাজাগতিক গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
পরিশেষে, নতুন কোয়ান্টাম মডেল মহাবিশ্বের উৎপত্তির ধারণা পরিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর যাচাইযোগ্য ভবিষ্যদ্বাণী এবং ধারণাগত সারল্য আধুনিক পদার্থবিদ্যার জন্য নতুন পথ খুলে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন এই তত্ত্বের সত্যতা যাচাই করার জন্য পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন।