কোয়ান্টাম বৃষ্টি পরিলক্ষিত: পদার্থের একটি নতুন অবস্থা
একটি যুগান্তকারী পরীক্ষায়, বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো 'কোয়ান্টাম বৃষ্টি' পর্যবেক্ষণ করেছেন। এই ঘটনায় অতি-ঠান্ডা পরমাণু ফোঁটা তৈরি করে যা খণ্ডিত হয়, যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সহযোগিতায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অপটিক্স (CNR-INO) এর একটি দল এই গবেষণা পরিচালনা করেছে।
কোয়ান্টাম ফোঁটা এবং কৈশিক অস্থিরতা
গবেষকরা পটাসিয়াম এবং রুবিডিয়াম পরমাণুর মিশ্রণকে প্রায় পরম শূন্যে ঠান্ডা করেছেন। এই প্রক্রিয়ার ফলে কোয়ান্টাম ফোঁটা তৈরি হয়েছে, যা পরবর্তীতে ছোট ছোট অংশে ভেঙে গেছে। এই বিভাজন কৈশিক অস্থিরতার কারণে ঘটে, যা ক্লাসিক্যাল তরলগুলিতে দেখা যায় তার অনুরূপ।
অধ্যয়নটি দেখিয়েছে যে গঠিত উপ-ফোঁটাগুলির সংখ্যা ভাঙ্গনের মুহূর্তে ফিলামেন্টের দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক। এই আচরণটি ক্লাসিক্যাল তরলগুলিতে পরিলক্ষিত কৈশিক অস্থিরতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই ফলাফলগুলি এই অনন্য তরল পর্যায়ের গভীরতর উপলব্ধি প্রদান করে।
কোয়ান্টাম প্রযুক্তিতে সম্ভাব্য অ্যাপ্লিকেশন
কোয়ান্টাম বৃষ্টির পর্যবেক্ষণ কোয়ান্টাম পদার্থ বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই কোয়ান্টাম ফোঁটাগুলি আরও জটিল কোয়ান্টাম সিস্টেমের জন্য বিল্ডিং ব্লক হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আন্তঃসংযুক্ত ড্রপলেট নেটওয়ার্কগুলি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বা ভৌত সিস্টেমের সিমুলেশনের জন্য প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করতে পারে।
কোয়ান্টাম সিস্টেমে কৈশিক অস্থিরতা অধ্যয়ন করা চরম অবস্থার অধীনে পদার্থের মূল্যবান তথ্যও সরবরাহ করতে পারে। এর মধ্যে নিউট্রন তারা বা আদি মহাবিশ্বে পাওয়া অবস্থা অন্তর্ভুক্ত। এই অবস্থাগুলিতে পদার্থের আচরণ বোঝা চরম পরিবেশের আরও সুনির্দিষ্ট মডেল বিকাশে সহায়তা করতে পারে।
ভবিষ্যতের গবেষণা কোয়ান্টাম ফোঁটাগুলি কীভাবে যোগাযোগ করে এবং কীভাবে জটিল কাঠামো তৈরি করতে তাদের হেরফের করা যায় তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ফোঁটাগুলির বৈশিষ্ট্য কীভাবে পরিবর্তিত হয় তাও অন্বেষণ করতে চান। এই গবেষণা কোয়ান্টাম পদার্থ ম্যানিপুলেশনের উপর ভিত্তি করে নতুন প্রযুক্তির জন্ম দিতে পারে, যা কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং উচ্চ-নির্ভুল মেট্রোলজিতে প্রয়োগ করা যেতে পারে।