২০২৫ সালের ১৩ই জুন, *ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স*-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় মানুষের গল্প বলার স্মৃতি নিয়ে নতুন একটি গাণিতিক মডেল প্রকাশ করা হয়েছে। এই গবেষণায় ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি, এমরি ইউনিভার্সিটি এবং উইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের গবেষকরা কাজ করেছেন।
গবেষকরা গল্পের স্মৃতিকে হায়ারার্কি হিসেবে উপস্থাপন করতে র্যান্ডম ট্রি-এর একটি পরিসংখ্যানগত সংগ্রহ ব্যবহার করেছেন, যা জটিল তথ্যকে সহজ করে তোলে। তারা দেখেছেন যে গল্পের দৈর্ঘ্য বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি এবং স্বীকৃতি ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তবে, দীর্ঘ গল্প বলার ক্ষেত্রে মানুষ বিস্তারিত মনে রাখার পরিবর্তে সারসংক্ষেপ করতে বেশি আগ্রহী হয়। এই মডেলটি পরীক্ষামূলক পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যা দেখায় কীভাবে আমরা তথ্য সংকুচিত করি এবং মনে রাখি।
মডেলটি দীর্ঘ গল্পের জন্য একটি সর্বজনীন, স্কেল-ইনভেরিয়েন্ট সীমা তৈরি করে, যেখানে গল্পের সারসংক্ষেপিত অংশ দৈর্ঘ্যের হিসাব ছাড়াই স্থিতিশীল থাকে। এই আবিষ্কার স্মৃতি এবং সম্ভাব্য এআই ও জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে অগ্রগতি আনতে পারে। এই গবেষণা বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের গল্প বলার পদ্ধতিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।