টেকসই শক্তির ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে, ভারতের বেঙ্গালুরুতে বিজ্ঞানীরা একটি যুগান্তকারী সুপারক্যাপাসিটার উপাদান উদ্ভাবন করেছেন। এই উদ্ভাবন শক্তি সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যা প্রচলিত ব্যাটারির তুলনায় পরিচ্ছন্ন ও অধিক কার্যকর বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে। ডঃ কাবিতা পাণ্ডেয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণাটি Journal of Alloys and Compounds এ প্রকাশিত হয়েছে।
দলটি পরিবেশবান্ধব একটি যৌগ, সিলভার নিয়োবেটের উপর গুরুত্বারোপ করেছে। ল্যানথানাম, যা একটি বিরল পৃথিবীর উপাদান, যোগ করার মাধ্যমে তারা উপাদানের কর্মক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। এই ডোপিং কৌশলটি শক্তি সঞ্চয়ের জন্য পৃষ্ঠফল বৃদ্ধি করেছে এবং বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা উন্নত করেছে।
নতুন সুপারক্যাপাসিটার উপাদান চমকপ্রদ ফলাফল দেখিয়েছে, দীর্ঘ ব্যবহারের পরও এর প্রাথমিক শক্তি ধারণক্ষমতার ১১৮% ধরে রেখেছে। এটি ১০০% কুলম্বিক দক্ষতাও অর্জন করেছে, যার অর্থ চার্জিং ও ডিসচার্জিংয়ের সময় প্রায় কোনও শক্তি নষ্ট হয়নি। একটি প্রোটোটাইপ সফলভাবে একটি LCD ডিসপ্লে চালিয়েছে, যা পোর্টেবল ইলেকট্রনিক্স এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবস্থার সম্ভাবনা প্রতিফলিত করে। "এটি আরও কার্যকর ও টেকসই শক্তি সংরক্ষণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ," ডঃ পাণ্ডেয় উল্লেখ করেছেন।
এই গবেষণাটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত, যা আমাদের সাংস্কৃতিক গর্ব এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্যের আলোকে পরিচ্ছন্ন শক্তির উন্নয়নের পথে এক অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।