নতুন রাসায়নিক পদ্ধতি টায়ারের বর্জ্যকে মূল্যবান এপোক্সি রেজিনে রূপান্তরিত করে

Edited by: Vera Mo

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টায়ার ল্যান্ডফিলে শেষ হয়, যা উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। ইউএনসি-চ্যাপেল হিলের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি বিভাগ দ্বারা অর্থায়িত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় রাবারের বর্জ্যকে মূল্যবান এপোক্সি রেজিন অগ্রদূতগুলিতে ভেঙে ফেলার জন্য একটি নতুন রাসায়নিক পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ডঃ আলেকজান্ডার জুখোভিটস্কির নেতৃত্বে, গবেষণাটি বাতিল করা রাবারকে রূপান্তরিত করার জন্য সি-এইচ অ্যামিনেশন এবং পলিমার পুনর্বিন্যাস ব্যবহার করে, পাইরোলাইসিস-এর মতো ঐতিহ্যবাহী পুনর্ব্যবহারযোগ্য পদ্ধতির একটি টেকসই বিকল্প সরবরাহ করে, যা ক্ষতিকারক উপজাত তৈরি করে। রাবারের ক্রস-লিঙ্কড পলিমার গঠন পুনর্ব্যবহার করা কঠিন করে তোলে। নতুন কৌশলটি পলিমার চেইনের নির্দিষ্ট স্থানে অ্যামাইন গ্রুপ ইনস্টল করার জন্য একটি সালফার ডাইমাইডের রিএজেন্ট ব্যবহার করে, যা কঙ্কালের পুনর্বিন্যাস সক্ষম করে। এই প্রক্রিয়া রাবারকে দ্রবণীয়, অ্যামাইন-কার্যকরী পদার্থে ভেঙে দেয়, যা এপোক্সি রজন উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত। পরীক্ষায় মডেল পলিমারে উল্লেখযোগ্য আণবিক ওজন হ্রাস এবং জলীয় মাধ্যমে হালকা অবস্থায় (35-50 ডিগ্রি সেলসিয়াস) ছয় ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহৃত রাবারের সম্পূর্ণ বিভাজন দেখানো হয়েছে। এই পদ্ধতিটি ঐতিহ্যবাহী কৌশলগুলির তুলনায় বেশি পরিবেশ-বান্ধব এবং সাশ্রয়ী। ফলস্বরূপ এপোক্সি রজন বাণিজ্যিক রেজিনের মতো শক্তি প্রদর্শন করে, যা পেট্রোলিয়াম ভিত্তিক রাসায়নিকের জন্য একটি সম্ভাব্য প্রতিস্থাপন সরবরাহ করে। গবেষকরা বর্জ্য উৎপাদন কমাতে এবং স্থিতিশীলতা উন্নত করতে আরও পরিবেশ-বান্ধব দ্রাবক সিস্টেম অন্বেষণ করে প্রক্রিয়াটিকে আরও অপ্টিমাইজ করার জন্য কাজ করছেন।

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।