শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণা কৃষ্ণগহ্বরকে মহাজাগতিক মৃত প্রান্তের চিরাচরিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। গবেষকরা প্রস্তাব করেন যে কৃষ্ণগহ্বর সম্ভবত শ্বেতগহ্বরের প্রবেশদ্বার হতে পারে, যা তাত্ত্বিকভাবে বস্তু, শক্তি এবং এমনকি সময়কে মহাবিশ্বে ফেরত পাঠায়।
ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্সে প্রকাশিত গবেষণাটিতে কোয়ান্টাম মেকানিক্স ব্যবহার করে প্রস্তাব করা হয়েছে যে কৃষ্ণগহ্বরের ভিতরের বস্তু শ্বেতগহ্বরে রূপান্তরিত হতে পারে, যেখানে সময় একটি নতুন পর্যায়ে চলে যায়। সহ-লেখক ডঃ স্টিফেন গিলন ব্যাখ্যা করেন যে "কোয়ান্টাম মেকানিক্সে, সময় কখনই থামে না... এর মানে হল যে কৃষ্ণগহ্বরের ভিতরের অংশ শেষ নাও হতে পারে, বরং নতুন কিছুতে রূপান্তর হতে পারে।"
গবেষণাটি কৃষ্ণগহ্বরকে ডার্ক এনার্জির সাথে যুক্ত করে, যা ইঙ্গিত করে যে এটি সময়ের নিজস্ব ধারণা বোঝার মূল চাবিকাঠি হতে পারে। এটি সম্ভবত বিজ্ঞানীদের কৃষ্ণগহ্বরের বাইরে কী আছে তা অন্বেষণ করার অনুমতি দিতে পারে, যা নতুন মহাবিশ্ব এবং সময়ের পুনরায় সেট করার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে। প্রমাণিত হলে, এই গবেষণাটি মহাবিশ্বের গভীরতর উপলব্ধির কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।