বর্তমানে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর উপকারী প্রভাবের কারণে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এটি একসময় প্রান্তিক অনুশীলন হিসেবে বিবেচিত হলেও, এখন এর গুরুত্ব অপরিসীম।
সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত অনুশীলনের ফলে মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আসে, যা সামগ্রিক সুস্থ জীবনযাত্রায় সহায়ক। উদাহরণস্বরূপ, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন করেন, তাদের মস্তিষ্কের ধূসর পদার্থের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, যা মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক। জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মেডিটেশন উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা কমাতে কার্যকর। নিয়মিত মেডিটেশনকারীদের মধ্যে স্ট্রেস হরমোন করটিসোলের মাত্রা হ্রাস পায়, যা মানসিক শান্তির দিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।
এই মেডিটেশন কৌশলটি সকলের জন্য সহজলভ্য। এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত উপকারিতা প্রদান করে। তাই, সুস্থ জীবনের জন্য মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।