মে 2025-এ মলিকুলার থেরাপিতে প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা দেখায় যে ক্লোথো প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করলে জীবনকাল বাড়ানো যায় এবং বার্ধক্যের সময় শারীরিক ও জ্ঞানীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো যায়, যেখানে ইঁদুরকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বার্সেলোনার অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির (আইএনসি-ইউএবি) ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেসের অধ্যাপক মিগুয়েল চিলনের নেতৃত্বে এই গবেষণা, মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যকর বার্ধক্যকে উন্নীত করার জন্য ক্লোথোর একটি থেরাপিউটিক লক্ষ্য হিসাবে সম্ভাবনা তুলে ধরে।
গবেষণায় অল্প বয়সী ইঁদুরকে জিন থেরাপি ভেক্টর দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছিল যাতে তাদের কোষগুলিকে ক্লোথো প্রোটিনের (s-KL) আরও দ্রবণীয় রূপ নিঃসরণে উদ্দীপিত করা যায়। 24 মাস বয়সে, যা প্রায় 70 মানব বছরের সমান, এই ইঁদুরগুলিতে উন্নত পেশী, হাড় এবং জ্ঞানীয় স্বাস্থ্য দেখা গেছে। চিকিত্সা করা ইঁদুরগুলি 15-20% বেশি দিন বেঁচে ছিল এবং আরও ভাল শারীরিক কর্মক্ষমতা, বৃহত্তর পেশী ফাইবার এবং হ্রাসকৃত ফাইব্রোসিস প্রদর্শন করেছে, যা উন্নত পেশী স্বাস্থ্যের ইঙ্গিত দেয়। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিও লক্ষ্য করা গেছে, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে, যা অস্টিওপোরোসিসের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রভাবের পরামর্শ দেয়।
মস্তিষ্কে, s-KL চিকিত্সা নতুন নিউরন তৈরি করতে উৎসাহিত করে এবং হিপ্পোক্যাম্পাসে ইমিউন কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে, যা সম্ভাব্য জ্ঞানীয় সুবিধার পরামর্শ দেয়। এই ফলাফলগুলি পূর্ববর্তী গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যা ইঙ্গিত দেয় যে ক্লোথোর মাত্রা বয়সের সাথে হ্রাস পায় এবং বয়স-সম্পর্কিত রোগের সাথে যুক্ত। ক্লোথো জিনের অতিরিক্ত অভিব্যক্তি ইঁদুরের জীবনকালকে দীর্ঘায়িত করতে দেখানো হয়েছে, যা ক্লোথোকে বার্ধক্য এবং/অথবা নিউরোডিজেনারেসন নিয়ন্ত্রণ বা বিপরীত করার জন্য ব্যবহার করার সম্ভাবনা বাড়ায়। মানুষের মধ্যে অনুরূপ ফলাফল অর্জন করা যেতে পারে কিনা তা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।