ইস্ট্রোজেন, যা ঐতিহ্যগতভাবে একটি মহিলা যৌন হরমোন হিসাবে পরিচিত, এখন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য স্বীকৃত। বিজ্ঞানীরা মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং আলঝেইমার রোগ সহ স্নায়বিক অবস্থার উপর এর প্রভাব সক্রিয়ভাবে অন্বেষণ করছেন। ইস্ট্রোজেনের প্রভাব সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা উদ্ভাবনী হরমোন-ভিত্তিক থেরাপির পথ প্রশস্ত করতে পারে।
ইস্ট্রোজেন প্রাথমিকভাবে ডিম্বাশয়ে এবং মস্তিষ্কেও উৎপাদিত হয়, এটি পুরো মস্তিষ্কের রিসেপ্টরগুলির সাথে যোগাযোগ করে, যা নিউরনের কার্যকলাপ, প্রদাহ এবং মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহকে প্রভাবিত করে। গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা স্নায়বিক রোগ এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে মেনোপজের সময়। গবেষণায় দেখা গেছে যে ইস্ট্রোজেন মস্তিষ্কের পারফিউশন বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের টিস্যুতে নিউরোপ্রোটেক্টিভ এবং নিউরোট্রফিক প্রভাব ফেলে।
উদীয়মান গবেষণা স্নায়বিক চিকিৎসায় হরমোনের ওঠানামা বিবেচনা করার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। ইস্ট্রোজেনের ভূমিকা বোঝার মাধ্যমে মৃগীরোগ এবং মাইগ্রেনের মতো অবস্থার চিকিৎসার জন্য থেরাপি তৈরি করা হচ্ছে। এই জ্ঞান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের পদ্ধতির পরিবর্তন করতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য, এবং সম্ভবত আলঝেইমার রোগের সূত্রপাত বিলম্বিত করতে পারে। গবেষকরা মনে করেন যে মধ্য বয়সে শুরু হওয়া ইস্ট্রোজেন প্রতিস্থাপন থেরাপি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে, তবে আরও নিশ্চিত গবেষণার প্রয়োজন।