সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, বেলজিয়াম ১১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে মিশরের কাছে ২,০০০ বছরের পুরনো একটি সারকোফ্যাগাস (কফিন) ফেরত দিয়েছে। ব্রাসেলসের রয়্যাল মিউজিয়ামস অফ আর্ট অ্যান্ড হিস্টোরিতে এই প্রত্যাবাসন অনুষ্ঠিত হয়, যা এক দশকের আইনি প্রক্রিয়ার সমাপ্তি চিহ্নিত করে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে, এই ঘটনাটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে। সারকোফ্যাগাসটি, যা Ptolemaic সময়কালের (খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ থেকে তৃতীয় শতাব্দী) এবং মিশরের উচ্চ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত এক ব্যক্তির ছিল, তা পুনরুদ্ধারের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মিশরের সংস্কৃতি মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে ২৯,০০০-এর বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মিশরে ফেরত আনা হয়েছে। এছাড়াও, ইউনেস্কোর মতে, সাংস্কৃতিক সামগ্রীর কালোবাজার বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে, যা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে।
বেলজিয়ামের এই পদক্ষেপ অবৈধভাবে পাচার হওয়া সাংস্কৃতিক সামগ্রীর বিরুদ্ধে লড়াই এবং তাদের উৎস দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। এই সারকোফ্যাগাস ফেরত দেওয়া শুধু একটি ন্যায়বিচারের কাজ নয়, বরং মিশরীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির গভীর উপলব্ধিতেও সহায়ক।
পরিশেষে, বেলজিয়াম থেকে মিশরে সারকোফ্যাগাস ফেরত দেওয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি নৈতিক অঙ্গীকারের গুরুত্বকে তুলে ধরে। এটি আমাদের অতীতের অমূল্য সম্পদগুলি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়।