বহু শতাব্দী ধরে, গিজার মহাপিরামিডকে চার-পার্শ্বযুক্ত কাঠামো হিসাবে মনে করা হয়েছে। তবে, 1940 সালের একটি আকাশ থেকে তোলা ছবিতে প্রতিটি দিকের কেন্দ্রে একটি সূক্ষ্ম অবতলতা উন্মোচিত হয়েছে, যা প্রকাশ করে যে পিরামিডটি আসলে আট-পার্শ্বযুক্ত। এই অনন্য বৈশিষ্ট্যটি, যা ভূমি থেকে কার্যত অদৃশ্য, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট আলোর পরিস্থিতিতে দৃশ্যমান হয়, যেমন সূর্যোদয়, সূর্যাস্তের সময় বা আকাশ থেকে দেখলে।
ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্লিন্ডার্স পেট্রি এর আগে 19 শতকে পিরামিডের দেয়ালে অনিয়ম লক্ষ্য করেছিলেন। তবে, সেই সময়ে তার পর্যবেক্ষণগুলি নিশ্চিত করার কোনও উপায় ছিল না। 1940 সালে ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর পাইলট পি. গ্রোভসের আবিষ্কার এই অবতলতার প্রথম চাক্ষুষ প্রমাণ দেয়।
এই নকশার পেছনের উদ্দেশ্য একটি রহস্য। কিছু তত্ত্ব অনুসারে এটি একটি ইচ্ছাকৃত নকশা বৈশিষ্ট্য ছিল, যা সম্ভবত ভূমিকম্প এবং ক্ষয় প্রতিরোধে পিরামিডকে সহায়তা করার জন্য একটি কাঠামোগত শক্তিবৃদ্ধি হিসাবে কাজ করে। অন্য একটি তত্ত্ব বলছে যে অবতলতা আকাশ থেকে দেখার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল, যা মিশরীয়দের স্মৃতিস্তম্ভগুলিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনার সাথে সারিবদ্ধ করার অভ্যাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। গিজার মহাপিরামিডের লুকানো আটটি দিক গবেষকদের মুগ্ধ করে চলেছে, যা প্রাচীন মিশরীয়দের উন্নত প্রকৌশল এবং জ্যামিতিক জ্ঞানকে তুলে ধরে।