*দ্য অ্যানুয়াল অফ দ্য ব্রিটিশ স্কুল অ্যাট এথেন্স*-এ প্রকাশিত নতুন গবেষণা, বিস্তারিত থ্রিডি মডেলিংয়ের মাধ্যমে পার্থেননের অত্যাধুনিক আলো নকশা উন্মোচন করেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদ জুয়ান দে লারা এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেখানে তিনি অত্যন্ত নির্ভুলতার সাথে মন্দিরটির কাঠামো পুনর্নির্মাণ করেছেন। মডেলটিতে এথেনার মূর্তি এবং খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর সূর্যের অবস্থান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গবেষণায় প্রস্তাব করা হয়েছে যে পার্থেনন একটি নাটকীয় ভিজ্যুয়াল এফেক্ট তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। প্যানাথেনাইক শোভাযাত্রার সকালে, সূর্যের আলো মন্দিরের প্রবেশপথ দিয়ে প্রবেশ করবে। এই আলো তখন এথেনার স্বর্ণ ও হাতির দাঁতের মূর্তি থেকে প্রতিফলিত হয়ে এর চেহারা বৃদ্ধি করবে এবং একটি অনন্য আভা তৈরি করবে।
দে লারার বিশ্বাস, পার্থেনন কেবল একটি স্থাপত্যের বিস্ময় নয়, এটি একটি অপটিক্যাল বিস্ময়ও, যা আলোকে পুনর্নির্দেশিত করতে এবং পবিত্র পরিবেশ তৈরি করতে ডিজাইন করা হয়েছে। এই গবেষণাটি তুলে ধরেছে যে মন্দিরের ভেতরের চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা উপাসিত দেবতা এবং সম্পাদিত নির্দিষ্ট আচার-অনুষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে কীভাবে পরিবর্তিত হত। আলো এবং ছায়ার পারস্পরিক ক্রিয়া একটি নিমজ্জনশীল পরিবেশ তৈরি করত, যা রহস্য এবং বিস্ময়ের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিত।