নেচার-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা প্রকাশ করেছে যে ভূমধ্যসাগরে ফিনিশীয় সংস্কৃতির বিস্তার মূলত ফিনিশীয় ডিএনএ বহনকারী মানুষের অভিবাসনের চেয়ে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বেশি চালিত হয়েছিল। হ্যারাল্ড রিংবাউয়ার এবং সহকর্মীদের নেতৃত্বে এই গবেষণাটি ভূমধ্যসাগর জুড়ে ফিনিশীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান থেকে প্রায় 200 জন ব্যক্তির ডিএনএ বিশ্লেষণ করেছে।
গবেষণাটি মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকার স্থান থেকে প্রাপ্ত দেহাবশেষ পরীক্ষা করেছে। আশ্চর্যজনকভাবে, ফিনিশীয় ফাঁড়ি থেকে আসা ব্যক্তিদের প্রাচীন মধ্য প্রাচ্যের লোকেদের সাথে সীমিত জিনগত যোগসূত্র দেখা গেছে। পরিবর্তে, পিউনিক লোকেদের জিনোম প্রায়শই গ্রীস এবং সিসিলির প্রাচীন বাসিন্দাদের মতো ছিল, যা বাণিজ্য, আন্তঃবিবাহ এবং জনসংখ্যার মিশ্রণ দ্বারা গঠিত একটি বিচিত্র জিনগত গঠনের ইঙ্গিত দেয়।
এই ফলাফলগুলো থেকে বোঝা যায় যে ফিনিশীয় সংস্কৃতি বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ভূমধ্যসাগরীয় জনগোষ্ঠীর দ্বারা গৃহীত হয়েছিল, যা রিংবাউয়ারের প্রস্তাবিত একটি 'ফ্র্যাঞ্চাইজি' হিসেবে কাজ করছিল। এই গবেষণা প্রাচীন বিশ্বে সংস্কৃতি, অভিবাসন এবং জিনগত বংশের মধ্যে জটিল পারস্পরিক ক্রিয়াকে তুলে ধরে, যা প্রকাশ করে যে ফিনিশীয় বিস্তার ব্যাপক অভিবাসনের চেয়ে সংস্কৃতি সঞ্চালন এবং আত্মীকরণের বিষয়ে বেশি ছিল।