গবেষকরা আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের শিলা গঠনে ক্ষুদ্র, রহস্যময় টানেলের একটি নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করেছেন। নামিবিয়া, সৌদি আরব এবং ওমানে পাওয়া এই মাইক্রো-টানেলগুলি তাদের উৎস এবং একটি অজানা, প্রাচীন জীবন রূপের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে।
জোহানেস গুটেনবার্গ ইউনিভার্সিটি মেইঞ্জ (জেজিইউ)-এর অধ্যাপক সিজ পাসচিয়ার ১৫ বছর আগে নামিবিয়াতে প্রথম এই টানেলগুলি আবিষ্কার করেন। কাঠামোটি সাধারণত প্রায় আধা মিলিমিটার চওড়া এবং তিন সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা, যা মার্বেল এবং চুনাপাথরের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। পাসচিয়ার তার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন যে এই টিউবগুলি স্পষ্টতই ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার ফল নয়।
বিশ্লেষণে টানেলের ভিতরে জৈবিক উপাদানের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায় যে এগুলি জীবন্ত প্রাণীর দ্বারা তৈরি। টানেলগুলি বিশুদ্ধ ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের একটি সূক্ষ্ম গুঁড়ো দিয়ে ভরা। গবেষকরা অনুমান করেছেন যে অণুজীব ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের পুষ্টি উপাদান পেতে পাথরের মধ্যে টানেল তৈরি করেছে। তবে, কোনও ডিএনএ বা প্রোটিন সনাক্ত করা যায়নি, যার ফলে জীবটির সঠিক প্রকৃতি একটি রহস্য রয়ে গেছে।
এই মাইক্রো-বারোগুলির বয়স আনুমানিক এক থেকে দুই মিলিয়ন বছর। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন যে এগুলি সৃষ্টিকারী জীবগুলি এখনও বিদ্যমান নাকি বহু আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পাসচিয়ার বলেছেন যে আবিষ্কারটি নিয়ে এত উত্তেজনাপূর্ণ বিষয় হল আমরা জানি না এটি কোন এন্ডোলিথিক অণুজীব। এটি কি জীবনের একটি পরিচিত রূপ নাকি সম্পূর্ণ অজানা জীব?
এই আবিষ্কারটি চরম পরিবেশে উন্নতি লাভ করা মাইক্রোবিয়াল জীবনের সম্ভাবনা এবং অন্যান্য গ্রহে অনুরূপ জীবন রূপের অস্তিত্বের সম্ভাবনা নিয়ে আরও গবেষণার জন্ম দিয়েছে।