গোয়েথে ইউনিভার্সিটি ফ্রাঙ্কফুর্টের অধ্যাপক ভোলকার মুলারের নেতৃত্বে গবেষণাটি ব্যাখ্যা করেছে যে কিভাবে প্রাচীন অণুজীব, যারা গভীর সমুদ্রের উষ্ণ প্রস্রবণের মতো অক্সিজেন-মুক্ত পরিবেশে উন্নতি লাভ করে, তারা শক্তি তৈরি করে। এই অণুজীবগুলি কার্বন ডাই অক্সাইড এবং হাইড্রোজেনকে একত্রিত করে অ্যাসিটিক অ্যাসিড তৈরি করে, যা একটি প্রক্রিয়া যা কোষ থেকে সোডিয়াম আয়ন পাম্প করে এমন একটি প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এটি একটি সোডিয়াম গ্রেডিয়েন্ট তৈরি করে, যা বিপরীত হলে, এটিপি তৈরি করার জন্য একটি আণবিক টারবাইন (এটিপি সিন্থেস) চালায়, যা সর্বজনীন শক্তি মুদ্রা। ঝিল্লিতে এম্বেড করা প্রোটিনের একটি সংগ্রহ, আরএনএফ কমপ্লেক্স, এই প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা হাইড্রোজেন থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডে ইলেকট্রন স্থানান্তর করে। ক্রায়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি এবং মলিকুলার ডায়নামিক্স সিমুলেশন ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা আরএনএফ কমপ্লেক্সকে কল্পনা করেছেন এবং একটি লোহা-সালফার ক্লাস্টার সনাক্ত করেছেন যা সোডিয়াম আয়নকে আকর্ষণ করে, যা কোষ থেকে তাদের বহিষ্কারকে সহজ করে তোলে। এই আবিষ্কারটি কেবল প্রথম দিকের জীবন রূপগুলির সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া বাড়ায় না বরং কার্বন ক্যাপচার প্রযুক্তি এবং রোগজীবাণুগুলিতে অনুরূপ শ্বাসযন্ত্রের এনজাইমগুলিকে লক্ষ্য করে নতুন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ তৈরির সম্ভাবনাও রাখে।
প্রাচীন অণুজীবগুলি প্রকাশ করেছে কিভাবে জীবন অক্সিজেন ছাড়াই শক্তি তৈরি করত: পৃথিবীর প্রথম দিকের জীবন বোঝার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার
Edited by: @nadezhdamed_d Med
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।