চীনের বিজ্ঞানীরা একটি জিনগত সুইচ চিহ্নিত করেছেন যা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের টিস্যু পুনরুৎপাদন করার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে পারে, যা সম্ভবত পুনরুৎপাদনশীল চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাবে। এই আবিষ্কারটি, যা 27 জুন, 2025 তারিখে *সায়েন্স* জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, অঙ্গের ক্ষতি এবং আঘাতজনিত আঘাতের চিকিৎসার আশা জাগিয়েছে।
কিছু প্রাণী, যেমন মাছ এবং সালাম্যান্ডারের মতো, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সীমিত পুনরুৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। কানের পিনা, বা বাইরের কান, এটি অধ্যয়নের জন্য একটি ভালো মডেল, কারণ এর পুনরুৎপাদন ক্ষমতা বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রজাতিতে ভিন্ন হয়। এই গবেষণা আমাদের শরীর কীভাবে নিজেদেরকে সুস্থ করতে পারে তার রহস্য উন্মোচন করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে *Aldh1a2* জিন পুনরুৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অ-পুনরুৎপাদনকারী স্তন্যপায়ী প্রাণী আঘাতের পরে এই জিনটিকে পর্যাপ্তভাবে সক্রিয় করে না, যার ফলে রেটিনোইক অ্যাসিড (RA)-এর অভাব হয়, যা টিস্যু মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় একটি অণু। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস (NIBS), BGI রিসার্চ এবং নর্থওয়েস্ট এ অ্যান্ড এফ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই গবেষণায় জড়িত ছিলেন।
হয় বাহ্যিকভাবে RA সরবরাহ করে বা খরগোশ থেকে একটি জিন এনহ্যান্সার ব্যবহার করে *Aldh1a2* সক্রিয় করে, বিজ্ঞানীরা সফলভাবে ইঁদুর এবং ইঁদুরের পুনরুৎপাদন ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করেছেন। এই সাফল্য পুনরুৎপাদনের বিবর্তনে একটি মূল লক্ষ্যকে তুলে ধরে এবং অন্যান্য অঙ্গ বা প্রজাতি কেন পুনরুৎপাদন করতে ব্যর্থ হয় তা বোঝার জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। এই আবিষ্কার মানব আঘাত এবং রোগের জন্য নতুন চিকিৎসার দিকে নিয়ে যেতে পারে।