ইন্টারন্যাশনাল একটি দল, যার মধ্যে Instituto de Astrofísica de Canarias (IAC)-এর বিজ্ঞানীরাও আছেন, সিসমিক তরঙ্গ ব্যবহার করে তারার ভর নির্ণয়ের নতুন একটি পদ্ধতি যাচাই করেছেন। এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
প্রথমবারের মতো, একটি প্রাচীন তারা দুইটি স্বাধীন পদ্ধতির মাধ্যমে "ওজন করা" হয়েছে, যার ফলাফল অত্যন্ত নিখুঁত। এই মিলন তারার ভর ও বয়স নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির বিবর্তন বোঝার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এনে দেয়।
এই গবেষণাটি Astronomy and Astrophysics জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং এতে KIC 10001167 নামক দ্বৈত তারা ব্যবস্থার একটি লাল দৈত্য তারার উপর ফোকাস করা হয়েছে। দলটি কক্ষপথগত গতি বিশ্লেষণ এবং অ্যাস্টেরোসিসমোলজি ব্যবহার করে তারাটির ভর অনুমান করেছে। কেপলার উপগ্রহ উজ্জ্বলতার পরিবর্তনের তথ্য সরবরাহ করেছে, আর নর্ডিক অপটিক্যাল টেলিস্কোপ (NOT) রেডিয়াল ভেলোসিটি পরিবর্তন পরিমাপ করেছে।
কক্ষপথগত গতি, যা ক্লাসিক্যাল মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত, তারার ভর পরিমাপের একটি শক্তিশালী উপায়। অ্যাস্টেরোসিসমোলজি তারার অভ্যন্তরীণ কাঠামো প্রকাশ করে, যা বিবর্তন মডেলের সাথে তুলনা করে ভরের মতো পরামিতি নির্ণয়ে সাহায্য করে। উভয় পদ্ধতির ফলাফলে মাত্র ১.৪% এর কম পার্থক্য দেখা গেছে, যা তারার বয়স ১০% নির্ভুলতায় অনুমান করতে সক্ষম করেছে।
এটি প্রথমবারের মতো যে অ্যাস্টেরোসিসমোলজি থেকে প্রাপ্ত তারার ভর নির্ণয়কে কক্ষপথগত গতির ওপর ভিত্তি করে স্বাধীনভাবে যাচাই করা হয়েছে এবং যথেষ্ট নির্ভুলতা অর্জন করে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত হয়েছে। এই অগ্রগতি তারার বিবর্তন এবং আমাদের গ্যালাক্সির ইতিহাস সম্পর্কে নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, যা দক্ষিণ এশিয়ার বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে আমাদের গর্বের বিষয়।